অন্য জগৎ
– মোশারফ হোসেন হারূণ
ঝপাং-ঝপ।
পাানিতে কারো চলার শব্দ। সকাল থেকে বার কয়েক অমন শব্দ শুনেছে করমালী। প্রতিবারেই মাথা তুলে পরখ করে দেখেছে।
নাহ।
কাছে পিঠে কেউ নেই। অথচ শব্দটা কত জীবন্ত। বটতলার লাউয়া সাধুর একতারার শব্দের মত মাথার ভিতর কেমন গুঞ্জন জাগায়।
কানে শোনে অথচ চোখে দেখে না। বড় আচানক হয় করমালী। এক সময় নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত টানে; হয়তো মাথাটাই তার খারাপ হয়ে গেছে। আর মাথাটারই বা দোষ কী? সেই কবে নদী-নালা ছেড়ে বসতভিটায় বাস করার সাধ জেগেছিল পানির। আজও তার আশা মেটেনি। সেই থেকে অগণিত মানুষ বসতভিটায় পানির ঠাঁই করে দিয়ে নিজেরা প্রমোশন নিয়ে উঠে গেছে মাচাং-এ।
করমালীও সপরিবার মাটিছাড়া। বহু কামনার অবসর পেয়েও তা ভোগ করার সৌভাগ্য হয় না তার। দু’দিন না যেতেই শূন্য হাড়ি বেজে ওঠে ঠন্ ঠন্।
মনা, গেদা বলে- “মা, খাব।’’
মজিরন স্বামীর মুখ পানে চায়। করমালী চট্ করে আকাশের উদারতায় হারিয়ে যায়।
“আমারে খা।”
অসহায় মজিরন ক্ষেপে যায়।
ক্ষুধা বধির। দাবি তার ইস্পাত কঠোর, হীরকতীক্ষ্ম।
ছমেদ মেম্বারের খেতমজুর করমালী। জোবার সময় এক মজুরিতে দেড়া খেটে কাজ উঠিয়ে দেয়। এ বিপদে তার কাছে যাবার অধিকার আছে করমালীর। অবশ্য দু’দিন পাওনা মজুরির কথা বলে মেম্বারকে বিরস করতে চায় না সে। বলবে দিন কয় চলার মত ধান বা চাল কর্জের কথা।
বন্যার পানি নেমে গেলেইতো অফুরন্ত কাজ। ক’দিনেই শোধে দেয়া যাবে। গামছার টুকরাটা মাথায় বেঁধে করমালী মাচাং এর খুঁটি বেয়ে পানিতে নেমেই দ্রুত পা চালায়।
“কই যাও?” বৌ সুধায়।
“মেম্বার সা’বের বাড়ি। চলতে চলতেই করমালী জবাব দেয়।
নাড়ীতে ক্ষুধার কামড়ের তীব্র জ্বালা নিয়ে মজিরন মাচাং এর কোণে পড়ে থাকা আলগা চুলাটার দিকে চোখ ফেরায়।
আর্জি শুনে মেম্বারের চোখের তারায় বিজলি চমকায়। দাঁড়ি-গোঁফের ফাঁকে হীরক ঝলসায়। সমজদারের মত মাথা দোলাতে দোলাতে দ্রুত জাবর কাটেন। তারপর পানের রসে ভিজিয়ে রসালো করে বলেন, “এক নিলে তিন দিতে হবে। শুধবি কী করে? ঘর ভিটাটা ছাড়া মাঠে তো কিছুই নেই।”
ইঙ্গিতটা করমালীর কাছে অতি পুরাতন।
মনের গহিনে পুরে নিয়ে আসা মিটমিট করে জ্বলতে থাকা আশার আলোটা নিষ্ঠুর কুটিলতার নির্মম পীড়নে চট্ করে নিভে যায়। আপাতত ভিটাছাড়া হলেও পানি নেমে গেলেই তো মিলবে মায়ের কোলের মত আপন মাটির সোহাগ পরশ। কিন্তু মেম্বারের হাতে গেলে…। আর ভাবতে পারেনা সে।
ঘাটে এসে দেখে কালা মিয়ারা বাপ-বেটা ধরাধরি করে তালের ডোঙায় ধানের বস্তা উঠায়। করমালীর চোখে মেম্বারের মাঝ বিলের জমিটার বর্ধিত নতুন সীমানাটা স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়।
এ তল্লাটে উঁচু বলতে মিয়াদের ছাড়া বাড়িটা। তাও পানির আঁচল ঢাকা। আলের পাশে পাশে গলা জলে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু চুনো কচু। পাশের ডোবার এক ঝাঁক হেলেঞ্চা শাক। দু’চার দিনে তাও শেষ হয়ে যায়।
করমালী চার মাইল হেঁটে গঞ্জে গিয়ে সংগ্রহ করে কিছু রিলিফের আটা। শুকনো লাকড়ির অভাবে পানিতে গুলে মাড়ের মত করে গিলে গিলে চলে আরো ক’দিন।
কাজের খোঁজে ক্ষুধিত জঠরে জলে-কাদায় ঘুরে ঘুরে করমালীর পেটের আগুন যেন সারা দেহে ছড়িয়ে যায়। উপরে আকাশের অবিরাম অশ্রুপাত। নীচে বানের জলের তা-ব লীলা। মাঝখানে তপ্ত খোলায় ভাজা ভাজা হয় করমালী।
খাবার চেয়ে চেয়ে ছোট ছেলেটির কান্না গোঙানিতে নেমে যায়। অবশেষে নিঃশব্দ মুখের হা-এর মাঝে ঢেলে দেয়া পানিটা নাড়িভুড়ি ঘুুরে গম আটকানো দুর্গন্ধ নিয়ে বিপরীত পথে বেরিয়ে আসাটাও বন্ধ হয়ে যায়।
জ্বরের ঘোরে করমালী বেপরোয়া বকে যায়। ছমেদ মেম্বারদের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য খোদ খোদাকেই দায়ী করে। ক্ষুধার টুটি টিপে ধরার জন্য বার বার শূন্যে হাত বাড়ায়। নিষ্ফল আক্রোশে দাঁতে দাঁতে শব্দ তোলে কড় কড়।
মাটির হাড়িতে করে দেড় বছরের কংকালটা বানের জলে ভাসিয়ে দিয়ে বিছানা নেয় মজিরন। পাশে মনা। গেদাদের মিছিলের পরবর্তী সদস্য। নিস্তব্ধ ভূতুড়ে পরিবেশ। উত্তরবাড়ির আঙিনা থেকে ভেসে আসা হাম্বা রব গত দু’দিন থেকেই বন্ধ।
ইস্পাতশূন্যতার বুকে শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ উঠে শন-শন।
কাল থেকে করমালীর জ্বরের মাত্রাটা কম হলেও মাথার ভিতর চলে অদৃশ্য একটা ইঞ্জিনের র্ঘ র্ঘ শব্দ। চোখ রগড়ে আবছা মত দেখে- সামনের জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে ঝপাং ঝপ শব্দ তুলে হেঁটে যাচ্ছে দক্ষিণপাড়ার আলোক মিয়া। মাথায় একটা ছোট্ট পুটলি।
তাহলে গঞ্জে রিলিপ এসেছে?
ভাবনার সাথে সাথে একটা উষ্ণ স্রোত শিরা-উপশিরা ধমনী ঘুরে পাক খেয়ে তালুতে উঠে যায়। গামছার আধলাটা হাতে নিয়ে মাথা তুলতেই ডিঙিনৌকার মত টল্টলিয়ে ওঠে নীলাকাশ। দু’হাতে মাচাং আকড়ে ধরে অতি কষ্টে উঠে দাঁড়ায়। মরার মত পড়ে আছে মনা আর মজিরন। দুর্গন্ধের ডাক শুনে ওদের পরণের ন্যাকড়ার উপর হুমড়ি খেয়ে আছে ঝাঁক-ঝাঁক মাছি। বাতাসের ধাক্কায় মাচাং-এর খুঁটির সাথে বানের জল হাসছে খল খল, নাচছে থৈ থৈ। একদিন মজিরনের দেহেও ছিল এমনি খল খল হাসি থৈ থৈ নাচ।
আর আজ? পাকা ডালিমের মত রসভারে প্রায় ফেটে পড়া স্তনযুগল শুকনো চামড়ার টুুকরো যেন। কদলীকান্ডের মত টসটসে দেহ শুকনো কাঠ। অভাবের বিষদাঁত খুবলে খেয়েছে সব। তবুও প্রাণটা দেহের মায়া এখনও ছাড়েনি। মরা বাঁচার মাঝখানে ঝুলছে যেন। চেষ্টা করলে হয়তো ঝুঁকিটা জীবনের দিকে এলানো যায়। ভাবতে ভাবতে দ্রুত নেমে যায় সে। পথে পথে পানি কাদার কষ্ট ছাড়িয়ে অসহ্য হয়ে ওঠে মাংসপচা দুর্গন্ধ। স্রোতের টানে ভেসে চলে মানুষ, গরু-শেয়াল-কুকুরের গলিত শব। তারই উপর বসে পচা মাংস ছিঁড়ে খাচ্ছে কাক-শকুন। সেদিকে তাকিয়ে গেদার কথা মনে পড়ে যায় করমালীর। সাথে সাথে চোখের উপর ভেসে ওঠে লাশের মিছিল। সে মিছিলে গেদা, মনা আর মজিরনের লাশের সাথে নিজের লাশও। ধক্ করে উঠে বুকের মাঝখানটায়। জোর করে মন থেকে সে দৃশ্য তাড়িয়ে দ্রুত পা চালায় করমালী।
গঞ্জে পৌঁছাতে বেলা নেমে যায় বোর্ড অফিসের পেছনের নারিকেল গাছের মাথায়। মফেজ ডিলারের ঘরের দরজায় ঝুলছে মস্ত বড় এক তালা। করমালীর অবসন্ন হতাশ দৃষ্টির সামনে তালাটা ক্রমশ বৃহত্তর আকৃতি পেতে পেতে এক সময় চেপে বসে তার বুকের উপর। কঠিন চাপে দম বন্ধ হয়ে আসে তার ।
হুশ হতেই দেখে আতুর ভিখারির মত অসহায়ভাবে বসে আছে সে রাস্তায়। অথচ ওদিকে নদীর পারে জনতার ভিড়। কোমরভাঙা কুকুরের মত লাঠিতে ভর দিয়ে লেংচিয়ে লেংচিয়ে নিজেকে সে টেনে নেয়। সপারিষদ চেয়ারম্যানকে ঘিরে সে জটলা।
ও পাড়ার তালেবকে শুধিয়ে জানলো- মস্ত বড় এক রাজনৈতিক নেতা নাকি আসছেন বন্যাদুর্গতদের অবস্থা সচক্ষে দেখার জন্য। কারণ কাগজওয়ালারা নাকি তাদের বিক্রি বাড়ানোর জন্য তিলকে তাল করে লিখে দেয়।
এত বড় নেতা খালি হাতে আসবেন না নিশ্চয়ই। অনুমান অভিজ্ঞ তালেব আলীর। আশান্বিত করমালী ওদের সাথে একাত্ম হয়ে বসে পড়ে ঘাসের বিছানায়।
“কলরা অইব। কলরা অইব।’’
তালেব আলীর ফিসফিসানো আন্তরিক অভিশাপের উৎপত্তি লক্ষ করতে গিয়ে করমালী দেখে নদীর বুক আড়াআড়ি চিরে ¯্রােতের টানে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ছৈ-ঢাকা একটা নৌকা। ডবু ডবু বোঝাই। নৌকার দুই মাথায় বৈঠা হাতে মেম্বার আর ডিলারের দুই কিষান।
বিকালের কনে-দেখা আলো গায়ে মেখে, উপস্থিত জনতার চোখ ধাঁধিয়ে তরতরিয়ে এগিয়ে আসে কলের ডিঙিটা। সম্মিলিত জিন্দাবাদ ধ্বনির মাঝ দিয়ে ভাদ্রমাসের পাকা তালের মত রসালো চেহারার নেতাজি মঞ্চে উঠে আসেন। স্থানীয় নেতা, পাতিনেতা, ছাতিনেতা একযোগে হামলে পড়েন নেতাজির করস্পর্শে নিজেকে কৃতার্থ করার আশায়। পূর্ণিমার আস্ত চাঁদখানা চেহারায় ঝুলিয়ে বুকে বুক, হাতে হাত মেলালেন তিনি। তার পর গদ গদ কণ্ঠে শুরু করেন মানবতা সেবার (মানবসেবা নয়) কথা। প্রতিপক্ষের হৃদয়হীনতার বর্ণনা কণ্ঠে নাটকীয়তা ছড়ায়।
সুসজ্জিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে সম্পূর্ণ অদেখা দুর্গত এলাকার দুর্গতির কাব্যিক বর্ণনা দিতে দিতে পকেট থেকে রুমাল টানে। ফুরফুরে গন্ধ বাতাসের মূল্য বাড়ায়। নেতাজির চোখে তখন সত্যিই কি অশ্রু ছিল? না আলো ভেবে কোন নির্বোধ পোকা অশ্রুসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মাহুতি দিয়েছিল- মানুষকে নিয়ে মানুষের রাজনীতি খেলার নোংরামি দেখার লজ্জা থেকে নিষ্কৃতি পেতে, তা ঠাহর করেনি করমালী। পেটে তখন তার তৃষিত সাহারা, মাথার ভেতর জ্বলন্ত ভিসুভিয়াস।
ওসব কথায় পেট ভরে না বাপ। কিছু থাকলে দাও। আগে জান বাচাঁই। গজ গজ করতে থাকে করমালী।
একটু দম নিয়ে নেতাজি সমাগত জনতার উদ্দেশে ভবিষ্যতের জন্য নেতা নয়, প্রকৃত বন্ধু চিনে রাখার উপদেশ খয়রাত করে মৃদু হাসলেন। ক্লিক ক্লিক শব্দ আর বিদ্যুৎ চমকানির সাথে বিপুল করতালির বন্যায় ভেসে যায় বানভাসি মানুষের দুঃখ বেদনার বাস্তবতা।
বক্তৃতা শেষ হতেই চেয়ারম্যান সাহেবের ইঙ্গিতে এক ঝুরি আটার রুটি নিয়ে আসে স্বেচ্ছাসেবক দল। করমালীর পাঁজরের হাড়ের নিচে জেগে ওঠে একটা আরামদায়ক চিনচিনে সুড়সুড়ি। আপন বৃত্তে দোল খায় বুকের রক্ত। সুখী সুখী ঘাম জাগে দেহ জুড়ে। যাদুর কাঠির ছোঁয়ায় মায়ানিদ্রা থেকে জেগে ওঠা রাজপুরীর মতো নিমিষে ভেতরের উত্তেজনায় উঠে দাঁড়ায় সবাই। শুরু হয় ঠেলাঠেলি ধাক্কা ধাক্কি। তৃতীয় চরণ লাঠিটা খুঁজে পায় না করমালী। তবুও নিজেকে মনে হয় বিশ বছরের যুবক।
এক ঝাঁক সাংবাদিক সতর্ক ভঙ্গিতে নেতাজির মুখোমুখি পজিশান নিয়ে দাঁড়ায়। সে দিকে একখানা রুটি উঁচু করে ধরে চেহারায় দুখি দুখি ভাব
ফুটিয়ে দাঁড়ান কনুই মেরে পাকাল বাইন মাছের মত প্রতিযোগীদের পেছনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার কৌশল প্রয়োগরত একপাল তাঁবেদার বেষ্টিত নেতাজি। সম্মুখে সারিবদ্ধ অসংখ্য হাত। সকাল থেকে বহুবার দেয়া মহড়ার সার্থক রূপায়ন।
একজন ‘স্টার্ট’ বলে হেঁকে উঠতেই অসংখ্য আলোর নাচনের মাঝে শুরু হয় বিতরণ। দেহের সবটুকু রক্ত তাঁতিয়ে ঘামরূপে ঝরিয়ে দু’খানা রুটি সংগ্রহ করে করমালী। এত সাধনার ধন কেউ পাছে কেড়ে নেয় সেই ভয়ে রুটি দুখানা আধলা গামছায় জড়িয়ে বুকের সাথে প্রাণপণে চেপে ধরে রাখে সে।
ক্লান্ত বিকেলের ফ্যাকাশে আলোকে ততক্ষণে চুষে নিয়েছে সাঁঝের আঁধার। সেই আঁধারের পটভূমিতে করমালী দেখতে পায়Ñ ভাগাভাগি করে রুটি খাচ্ছে মনা-গদা আর মজিরন। মৃদু মৃদু হাসছে যেন ওরা। ভাবনার সাথে চলা তার দ্রুত হয়। বুকের ভেতরের ঘড়িটা বাজতে থাকে টিক টিক।
“মজিরন, ও মজিরন।” দূর থেকেই ডাক পাড়ে করমালী।
কোন সাড়া নেই।
“মনা, ম-না…।’’
মৃত্যুর নীরবতা।
সারাদিনের সঞ্চিত উত্তেজনাটা ঝট করে মাথা থেকে নেমে পায়ের তালু দিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে যায়। মুহূর্তের জন্য যেন থেমে যায় বুকের ঘড়িটা। অবিশ্বাস্য ভারী দেহের ভারে পা দু’টো কাঁপতে থাকে থর থর। নতুন হাঁটতে শেখা শিশুর মত টলতে টলতে আরো একটু এগিয়ে যায় করমালী।
আবার ডাকে।
অতলান্তিক নিস্তব্ধতা।
উরুসমান পানি ঢেউহারা স্নেহহারা। অন্ধকার হয়ে আসে আরো অন্ধকার। ডানে-বায়ে সামনে-পেছনে, যেদিকে চোখ যায় দয়াহীন, মায়াহীন. আলোহীন, প্রাণহীন কঠিন আঁধার। এ যেন করমালীর চেনা জানা সেই পৃথিবী নয়। অচেনা এক অন্য জগৎ।
মজিরন। মনা। ম-জি-র-ন।
কন্ঠ ছিঁড়ে চৌচির হয়।
লক্ষ কোটি প্রতিধ্বনি অনুধ্বনি বাজে… অ-অ-ন।
দিগন্তব্যাপী মহাশূন্যতা গ্রাস করে তাকে তখন। বুকের সাথে চেপে ধরা পুটুলিটা ছেড়ে দু’হাতে আকড়ে ধরে মাচাং-এর খুঁটি। পাগলের মতো ঝাঁকুনি দিতে দিতে অস্পষ্ট কণ্ঠে চিৎকার করতে থাকে, “মজিরন। মনা। মজি র-অ-অ-ন…
দোলনার মতো দুলুনির মাঝেও মাথার ভেতর বাজতে থাকে বন্ বন্। পায়ের নীচের মাটি উপরে উঠতে উঠতে এক সময় তারাভরা আকাশটাকে উল্টে ফেলে দেয়।
“ঝপাং।’’
একটা শব্দ তরঙ্গে তরঙ্গে সমস্ত নিস্তব্ধতাকে কেটে খান খান করে দূরে বহু দূরে হারিয়ে যায়।
লেখক : ছোটগল্পকার।
I would like to post an article http://fertus.shop/info/
you are welcome.
you are welcome