কিছু কিচেন টিপস আছে যা জানলে এই নাগরিক জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও রান্না ও রান্নাঘরকে আমাদের সহজে সামলানো সম্ভব। আর রান্নাঘর হচ্ছে একটি বাড়ির সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্থান। আমাদের বাড়ির এটি এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই সহজে ও স্মার্টলি এক সামলানো গেলে আমাদের লাইফস্টাইলও হবে উন্নত।
আমরা জানি আমাদের শরীরের যাবতীয় এনার্জি আসে খাবার থেকে। আর প্রতিদিন আমাদের চলার শক্তি প্রয়েজনীয় সব খাবার তৈরি হয় রান্নাঘরে। প্রতিদিনই রাঁধুনীদের এই রহস্যময় রান্নাঘরে নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। কিন্তু সামান্য কিছু কিচেন টিপস ফলো করে এই ঝামেলা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই কাজের ব্যস্ততার মাঝেও কিভাবে আপনি আপনার রান্না ও রান্নাঘরকে সামলাবেন তা আজ আমরা জানবো।
আমাদের রান্নাঘরে প্রতিদিন কতো পদের সুস্বাদু খাবার তৈরি হয় তার হিসেব কে রাখে! আর আমাদের রসনা বিলাস যতোটা সহজে হয়, রান্নাঘরে রান্না করা কিন্তু ঠিক ততোটা কঠিন।
নিচের প্রয়োজনীয় ৩০টি কিচেন টিপস আপনার রান্না ও রান্নাঘরকে আরো সহজে সামলাতে সাহায্য করবে-
১. রান্না করার সময় যদি তরকারিতে লবন বেশি হয়ে তাহলে এক টুকরো আলু ছেড়ে দিন। এই আলু তরকারির অতিরিক্ত লবন শোষে নেবে।
অথবা অল্প তেলে কুচানো কিছু পেঁয়াজ ভেজে তরকারির সাথে মিশিয়ে চুলার অল্প আচে ৪/৫মিনিট দমে রেখে দিলে তরকারির লবন কমে যাবে। এছাড়াও টমেটো কুচি করে তরকারিতে ছড়িয়ে দিলেও তরকারির লবন কমে যায়।
২. রান্না করা তরকারিতে বেশি হলুদ হয়ে গেলে সুপারি ছেড়ে দিন হলুদ ভাব কমে যাবে।
৩. তরকারিতে বেশি তেল দিয়ে ফেলাটা খুব সাধারন একটি ঘটনা। সমস্যা নেই! তরকারি ঠান্ডা হলে তাতে কয়েক টুকরো বরফ ছেড়ে দিন। বরফ অতিরিক্ত তেল শোষে নিবে। সাথে সাথে বরফগুলো উঠিয়ে ফেলে দিন।
৪. আলু সেদ্ধ করার সময় সাথে এক চিমটি লবন দিলে আলুর খোসা সহজেই তুলতে পারবেন।
৫. মাছ ভাজার সময় গরম তেল ছিটা একটি বিরক্তিকর ব্যাপার। তেল ছিটা রোধ করতে গরম তেলে একটু লবন ছড়িয়ে দিন।
৬. ভাত সুন্দর ও ঝরঝরে করতে চাইলে চাল ধোয়ার পর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর রান্না করুন। অথবা রান্নার সময় ১চা চামচ রান্নার তেল দিন। দেখবেন ভাত সুন্দর ঝরঝরে হয়েছে।
৭. সবুজ সবজি রান্নার সময় সবুজ রং ঠিক রাখতে এক চিমটি চিনি দিন।
৮. অনেকসময় পাকা টমেটো ঘরে রাখলে নরম হয়ে যায়। নরম টমেটোকে শক্ত করতে চাইলে কিছু সময় লবন পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন টমেটো শক্ত হয়ে উঠেছে।
৯. কচু শাক অথবা কচু রান্না করলে তাতে কিছুটা টক দিলে খাওয়ার সময় গলা চুলকানোর ভয় থাকবে না।
১০.পরোটা নরম রাখার জন্য ময়দা গরম পানি বা টক দই দিয়ে মাখিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখুন। পরোটা খুব সুন্দর নরম ও মজাদার হবে।
১১. আপেল কাটার পর দ্রুত তা লালচে হয়ে যায়। অতিথির সামনে তা পরিবেশনকালে বিব্রত হতে হয়। কাটা আপেলের উপর হালকা করে লেবুর রস লাগিয়ে দিন। আপেল লালচে হবে না। বরং ফ্রেশ দেখাবে।
১২. পায়েস বা ক্ষীর ঘন করতে রান্নার সময় সামান্য পরিমাণে চালের গুড়া ঠান্ডা দুধের সাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করুন।
১৩. অনেক সময় কাজুবাদামের খোসা সহজে ছাড়ানো যায় না। তখন বাদামগুলোকে গরম পানিতে অন্তত ১৫-২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। খোসা নরম হয়ে সহজেই উঠে আসবে।
১৪. পেঁয়াজু মুচমুচে রাখতে চাইলে ডাল মিহি করে না বেটে বরং আধভাঙ্গা করে ডাল বাটুন বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। কেননা ডাল মিহি করে পেস্ট করলে পেঁয়াজু নরম হয়ে যায়। তেমনি পেঁয়াজু কাটলেট পাকোড়া সহ এ ধরনের খাবার তৈরিতে ময়দার পরিবর্তে ব্যবহার করুন চালের গুঁড়ো। এতে তেল যেমন কম শোষণ হবে তেমনি পেঁয়াজু হবে মচমচে।
১৫. ভাত বা ডাল উছলে বাইরে পড়ার আগেই কাঠের একটি চামচ দিয়ে রাখুন হাড়ির ওপর। দেখবেন উছলে পড়বে না। তেমনি দুধ জ্বাল দেওয়ার সময় হাঁড়ির চারপাশে সামান্য তেল মেখে নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তবে অবশ্যই উচ্চতাপে দেওয়া যাবে না দুধ। মাঝারি আঁচে রাখতে হবে।